
খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনের কারণে দেশে গমের তৈরি খাবারের ব্যবহার বৃদ্ধির পাশাপাশি গমের আমদানিও বাড়ছে। সদ্য বিদায়ী ২০২৪ সালে বিশ্ববাজারে গমের দাম নিম্নমুখী থাকায় আমদানিকারকেরা রেকর্ড পরিমাণ গম আমদানি করেছেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআরের হিসাবে, ২০২৪ সালে প্রায় ৭২ লাখ ৭৫ হাজার টন গম আমদানি হয়েছে। ২০২৩ সালে আমদানি হয়েছিল ৫৪ লাখ ১৭ হাজার টন। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে গম আমদানি বেড়েছে প্রায় ৩৪ শতাংশ। সরকারি–বেসরকারি দুই খাতে গম আমদানি হয়। নয় লাখ টনে উন্নীত হয়েছে। দেশে গমের চাহিদার ১৪–১৫ শতাংশ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়।
আর চাহিদার বাকি ৮৫ শতাংশই আমদানি হয়। গত বছর উৎপাদন ও আমদানি মিলে গমের সরবরাহ ছিল ৮৪ লাখ ৪৭ হাজার টন, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। বর্তমানে নুডলস, বিস্কুট, পাউরুটি, চানাচুরসহ শুকনা খাবার এবং হিমায়িত খাদ্যপণ্য তৈরি হচ্ছে গম দিয়ে। স্বাস্থ্যসচেতনতার কারণে মানুষ অনেক দিন ধরে ভাত কমিয়ে গমের খাবারের প্রতি ঝুঁকেছেন। এক বেলা ভাত ও দুই বেলা রুটি খাওয়া মানুষের সংখ্যা এখন অনেক বেশি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গমের তৈরি খাদ্যপণ্যের বিশাল শিল্প গড়ে উঠেছে দেশে। তাতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়ছে।