
একসময় গ্রামাঞ্চলের প্রায় প্রতিটা বাড়িতে দেখা মিলতো বাঁশ, বেত, মাটি আর টিনের ছাউনিতে তৈরি ধানসহ দানাজাতীয় ফসল রাখার বড় আধার ‘গোলা’। দীর্ঘদিন ধান সংরক্ষণ করে রাখা যায় এসব গোলায়। এখন আর গ্রামে ঘরে ঘরে দেখা যায় না বিশেষ এই ঘর। আগের দিনে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ক্ষেতের ধান গোলায় মজুত করতেন। বসতবাড়ির আঙিনায় মাটি, বাঁশ আর টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি করতেন বিশেষ এই ঘর। বর্ষার পানির প্রবেশ ঠেকাতে গোলা বসাতো হতো উঁচু জায়গায়। গোলায় প্রবেশের জন্য রাখা হতো একটি দরজা।
চোরের হাত থেকে ফসল রক্ষায় দরজায় মারা হতো তালা। তবে আধুনিকতার ছোঁয়ায় এখন সেই জায়গাগুলো দখল করে নিয়েছে বিশেষ সুবিধাসম্পন্ন গুদামঘর। বাড়িতেই তৈরি করা হতো ধানের গোলা। তবে এ পেশায় আর কাজ না থাকায় এখন ভিন্ন পেশা বেছে নিয়েছেন কারিগররা। বৃদ্ধা আবেদা খাতুন জানান, আগে প্রায় সব বাড়িতেই ধানের গোলা দেখা যেতো। সারাবছর গোলা থেকেই ধান বের করে তা সিদ্ধ ও শুকানোর মাধ্যমে ঢেঁকিতে পাড় দিয়ে তৈরি করা হতো চাল। বর্তমানে মিল-কারখানা আর চাতাল হওয়ায় এখন আর এগুলো করতে হয় না।