April 19, 2025
WhatsApp Image 2024-11-28 at 9.51.29 AM

কক্সবাজারে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ব্যাপক ফলন হয়েছে এবার সুপারির। ভালো দামও পাচ্ছেন চাষিরা। আকারে বড় আকার হওয়ায় সারা দেশেই কদর রয়েছে কক্সবাজারের এসব সুপারির। সারা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হয় এই জায়গার সুপারি। এলাকার এক হাটেই অন্তত ৮০ লাখ টাকার সুপারি বিক্রি হচ্ছে। চাষিরা জানান, পাঁচ বছর আগেও প্রতিটি কাঁচা সুপারি বেচাবিক্রি হতো ২ থেকে ৩ টাকায়। এখন ৬ থেকে ৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলার উখিয়া, টেকনাফ, রামু, কক্সবাজার সদর, ঈদগাঁও, চকরিয়া, পেকুয়া উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় ৮ হাজার ৬৪৫ একর জমিতে সুপারি বাগান রয়েছে। গ্রামের চাষি আবদুল মোতালেব বলেন, অক্টোবর মাস থেকে গাছের সুপারি পাকতে শুরু করেছে। বেচাবিক্রিও তখন থেকে শুরু। ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত গত দুই মাসে তিনি চার লাখ টাকার সুপারি বিক্রি করেছেন। গাছে আরও চার-পাঁচ লাখ টাকার সুপারি আছে।

সুপারি কিনতে আসা ব্যবসায়ী সাব্বির আহমদ বলেন, সোনারপাড়ার সুপারির ভেতরে কষ কম থাকে, আকারেও বড়। ১০-১৫টি সুপারিতে এক কেজি ওজন হয়। বড় আকারের সুপারি বিদেশে রপ্তানি হয়। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আশীষ কুমার বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার সুপারির প্রচুর ফলন হয়েছে। সুপারির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দামও বেশি পাওয়া যাচ্ছে, তা ছাড়া ভারত ও মিয়ানমার থেকে সুপারি পাচার বন্ধ থাকায় স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত চাষিরা লাভবান হচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *