January 22, 2025
fsedzfz

বিশালাকার কড়াইতে একসঙ্গে মেশানো হয় কাঁচামাল। সেখানে পাঁচ-ছয় ঘণ্টা গরম করার পর আনা হয় পাশে ছোট কড়াইতে। কিছুটা ঠান্ডা হওয়ার পর নির্দিষ্ট আকারের দুটি অর্ধগোলাকার ছাঁচে নেওয়া হয় সাবানের মণ্ড। এরপর দুই পাশ জোড়া দিয়ে রাখার হয় জমাট বাঁধার জন্য। তারপর কারিগরেরা গোলাকার চামচের সাহায্যে প্রস্তুত করেন চট্টগ্রামের শত বছরের পুরোনো গোলাকার সাবান, যা পরিচিত ‘বাংলা সাবান’ নামে। বাজারে এখন চালু থাকা বাংলা সাবানের সবচেয়ে পুরোনো ব্র্যান্ড চট্টগ্রামের ‘১৯৩৭ সাবান’।

সুগন্ধি সাবানের প্রচলন শুরুর আগে এই কাপড় কাচা সাবান বা গোসলের সাবান হিসেবে ব্যবহৃত হতো। কারখানার শত বছরের পথচলার গল্প শুনিয়ে কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিক আহমদ জানান, সনাতন পদ্ধতিতে সাবান তৈরি হলেও মানে ও ওজনে কখনো আপস করেননি তাঁর দাদা নুর আলী সওদাগর। তৃতীয় প্রজন্মে এসেও তারাও সেই ধারা বজায় রেখেছেন। বর্তমানে প্রতি গোল্লা সাবানের খুচরা মূল্য ৮০ টাকা। তবে একসময় তা ৭৫ টাকা ছিল। কারখানার কর্মচারীরা জানান, কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় দাম কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে ১৩০ গ্রাম ওজনের গোলাকার সাবানটির খুচরা মূল্য ২৫ টাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *