
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে তিন ফসলি জমিতে নতুন করে আরও সাতটি ইটভাটা চালু হয়েছে। ভাটাগুলোর তিনটি পড়েছে উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের দেওহাটা এলাকায়। এর মধ্যে ভাটার আংশিক পড়েছে মির্জাপুর পৌরসভার বাইমহাটীতে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা হয়। এতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ইটভাটাজনিত বায়ুদূষণ রোধে দেশে আর কোনো নতুন ইটভাটার ছাড়পত্র দেওয়া হবে না বলে উল্লেখ করেন। উপদেষ্টার এমন ঘোষণার পরও মির্জাপুরে নতুন সাতটি ইটভাটা চালু হয়েছে। ভাটাগুলোর অধিকাংশই মির্জাপুরের পাহাড়ি অঞ্চল, আবাদি জমি, আবাসিক এলাকা, কৃষিজমি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রেলপথ ও গ্রামীণ সড়কসংশ্লিষ্ট এলাকায় পড়েছে।
ভাটাগুলোতে ইট তৈরির জন্য উপজেলার পাহাড়ি অঞ্চল আজগানা ও বাঁশতৈল ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম, বংশাই ও লৌহজং নদের পাড় কেটে মাটি আনা হচ্ছে। মাটি পরিবহনের কারণে নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক। এ ছাড়া ইটভাটা নির্মাণের ফলে কৃষিজমি কমে খাদ্য উৎপাদনে ঘাটতি হচ্ছে। ভাটার ধোঁয়ায় জমির ফসল ও সবজি বিনষ্ট হচ্ছে। গাছে ফল এলেও তা ঝরে পড়ে যায়। দেওহাটা গ্রামের নকু মার্কেটের ব্যবসায়ী আলম হোসেন বলেন, ওই এলাকায় তিন ফসলি জমিতে ইটভাটা হওয়াতে কৃষির আবাদ কমে গেছে। এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের টাঙ্গাইল কার্যালয়ের উপপরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক জানান, অবৈধ ভাটাগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।