সুন্দরবনে চোরা শিকারি চক্রের দৌরাত্ম্য চলছেই। বন বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন তৎপরতা সত্ত্বেও হরিণ শিকার থামছে না। বনসংলগ্ন এলাকায় গোপনে বিক্রি হচ্ছে হরিণের মাংস। সুন্দরবনসংলগ্ন এলাকা থেকে মাঝেমধ্যে উদ্ধার হয় এই মাংস। এ সম্পর্কে সুন্দরবন খুলনা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক শরিফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘হরিণ শিকারের বিষয়ে আমাদের “জিরো টলারেন্স” বা শূন্য সহনশীলতা থাকবে। শিকার হওয়ার পর মৃত হরিণের মাংস উদ্ধারে প্রকৃতপক্ষে কোনো কৃতিত্ব নেই। বনাঞ্চলের মধ্যেও নিয়মিত টহল করতে হবে এবং টহলের সময় যদি হরিণ শিকারের ফাঁদ পাওয়া যায়, তবে ওই স্থানের লোকেশন সঠিকভাবে অফলাইন ম্যাপে ছবি নিতে হবে।
অপরাধ উদ্ঘাটনের পর দ্রুত সময়ে বন মামলা দিতে হবে। অভয়ারণ্য এলাকায় কোনো জেলে যেন প্রবেশ করে মাছ ও কাঁকড়া আহরণ করতে না পারে, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ক্যাম্পসহ সবাইকে সার্বিক সহযোগিতা করতে হবে। বন বিভাগ ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কয়রায় ৩০টির বেশি চোরা শিকারি চক্র সুন্দরবনে ফাঁদ পেতে নির্বিচার হরিণ নিধন করছে। গত এক বছরে সুন্দরবনসংলগ্ন কয়রা উপজেলা থেকে ৩৩৪ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করা হয়েছে। সর্বশেষ গত বুধবার রাতে সুন্দরবনের সত্যপীরের খাল এলাকা থেকে ৮০ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করে বন বিভাগ। এর আগে ৩ জানুয়ারি ৩৪ কেজি হরিণের মাংসসহ এক যুবককে গ্রেপ্তার করে কয়রা থানা–পুলিশ।