
বঙ্গোপসাগরের মধ্যে ৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের প্রবালসমৃদ্ধ দ্বীপ সেন্ট মার্টিন। পর্যটক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের দ্বীপে ওঠানামার একমাত্র ভরসা পূর্ব সৈকতের জেটি। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় সিডরের আঘাতে জেটির কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর টানা ১১ বছর জেটির সংস্কার হয়নি। বর্তমানে জেটির দুই পাশের রেলিং ভেঙে পড়েছে ইট-সিমেন্ট খসে পড়ছে। জেটির মধ্যভাগে কয়েকটি অংশের ঢালাই (তলা) ধসে পড়েছে। সেখানে কাঠের তক্তা বিছিয়ে পর্যটকের চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও পর্যটকেরা জানান, যেকোনো সময় ভাঙাচোরা জেটিটি সাগরে দেবে কিংবা ধসে পড়তে পারে। তখন পর্যটকসহ বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল মারুফ বলেন, জেটি সংস্কারের জন্য প্রায় ৭ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে, ঠিকাদারও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সেপ্টেম্বর থেকে সংস্কারকাজ শুরুর কথা থাকলেও সাগর উত্তাল থাকায় সম্ভব হয়নি। নভেম্বর থেকে পর্যটকের জন্য সেন্ট মার্টিন উন্মুক্ত রাখা হয়। এ কারণে জেটির সংস্কারকাজ শুরু করা যাচ্ছে না। ৩১ জানুয়ারির পর সেন্ট মার্টিনে পর্যটকের যাতায়াত বন্ধ হয়ে যাবে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে জেটির কাজ শুরু হবে।