
এজেন্সি: শিশুর স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকেন প্রত্যেক মা-বাবাই। কারণ, স্বাস্থ্য তাদের ভবিষ্যতের ভিত্তি। শিশুদের সুস্থতা ও সুস্থ রাখার জন্য সঠিক অভ্যাস শেখানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজকাল জাঙ্ক ফুড, গ্যাজেটের প্রতি আসক্তি এবং অনিয়মিত রুটিনের কারণে তাদের স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস শেখানোর মাধ্যমে আমরা শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ উন্নত করতে পারি। আজ এমন কিছু অভ্যাসের কথা আলোচনা করা হচ্ছে, যা শিশুদের সুস্থ রাখতে সাহায্য করতে পারে।
শারীরিক কার্যকলাপ
আজকাল শিশুরা বেশিরভাগ সময় মোবাইল ফোন, টিভি বা কম্পিউটারে কাটায়। যার কারণে তাদের শারীরিক কার্যকলাপ কমে গিয়েছে। এজন্য ওদের প্রতিদিন কমপক্ষে ১ ঘণ্টা ব্যায়াম, খেলাধুলা বা শারীরিক কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করা উচিত। যোগব্যায়াম, সাইকেল চালানো, দৌড়ানো বা বাইরে খেলাধুলার মতো অভ্যাস শিশুদের ফিটনেস বজায় রাখবে। এটি কেবল তাদের শারীরিক বিকাশে সাহায্য করবে না, বরং মানসিক স্বাস্থ্যও উন্নত করবে।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
শিশুদের শুরু থেকেই সুষম ও স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস গড়ে তুলুন। তাদের খাদ্যতালিকায় ফলমূল, শাকসবজি, দুধ, ডিম, গোটা শস্য এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন। জাঙ্ক ফুড, কোল্ড ড্রিঙ্কস এবং অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো। শিশুদের বুঝিয়ে বলতে হবে, স্বাস্থ্যকর খাবার শরীরকে শক্তিশালী ও উদ্যমী করে তোলে। এছাড়া তাদের খাওয়ার গুরুত্ব বুঝতে সাহায্য করুন এবং নিয়মিত সময়ে খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন।
প্রচুর পানি পান করা
শিশুদের প্রচুর পানি পান করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এটি শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যা শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে সাহায্য করে। তাদের বোঝাতে হবে, কোল্ড ড্রিঙ্কস এবং প্যাকেটজাত জুসের পরিবর্তে পানি পান করা কতটা ভালো বিকল্প। সারাদিনে কমপক্ষে ৬-৮ গ্লাস পানি পান করার অভ্যাস, তাদের হাইড্রেটেড ও সুস্থ রাখবে।