
চিন্ময় কৃষ্ণ দাস জামিন না পেলেও ইউনূস ‘ফাঁদে’! চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুকে জামিন দেওয়া হয়নি। জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় বাংলাদেশ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এরপর থেকে দীর্ঘদিন কেটে গেলেও পাননি জামিন। আজ মঙ্গলবার সে দেশের হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। দীর্ঘ শুনানি হলেও এদিনও চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন মঞ্জুর করেননি আদালত। তবে কেন তাঁকে জামিন দেওয়া যাবে না সেই সংক্রান্ত প্রশ্ন তুলছে হাইকোর্ট। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও জামিন পাননি তিনি। মঙ্গলবার সে দেশের হাইকোর্টে মামলার শুনানি হয়। দীর্ঘ শুনানির পরও চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে জামিন দেয়নি আদালত। তবে কেন তাকে জামিন দেওয়া যাবে না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে হাইকোর্ট। জামিনের শুনানি দীর্ঘ ছিল। শুনানি শেষে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। মামলায় ইউনূস সরকার কী প্রতিক্রিয়া জানায় সেদিকেই সবার চোখ। চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুর আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’কে বলেছেন যে আবেদনকারীর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে কেন এই মামলায় জামিন দেওয়া হবে না।
তাই দুই সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে ‘বিধির’ জবাব দিতে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে ওই দেশের কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশ পুলিশ। উত্তাল হয়ে ওঠে ঢাকাসহ অনেক এলাকা। সংখ্যালঘু মানুষের দল রাস্তায় বিক্ষোভ শুরু করে। এমনকি গ্রেফতারের পরদিন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে আদালতে হাজির করা হলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ব্যাপক সংঘর্ষে বিপুল সংখ্যক আইনজীবী নিহত হন। ওই ঘটনায় চিন্ময় প্রভুর আইনজীবীসহ একাধিক সংখ্যালঘুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। হত্যা মামলা হয়েছে। আসলে ইসকনের এই মহারাজের (চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভু) জামিন ঠেকাতে মাঠে নেমেছিল আইনুস সরকার ও সে দেশের মৌলবাদীরা। জামিন প্রক্রিয়া কার্যত ধাপে ধাপে অবরুদ্ধ করা হয়েছিল। আজ মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আর ওই শুনানিতে বাংলাদেশ হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে ইউনূস সরকার।