এজেন্সি: ঠোঁট এক্সফলিয়েশন
শীত আসার আগেই ত্বকের পাশাপাশি ঠোঁটেরও এক্সফলিয়েশন প্রয়োজন। নইলে শীতের বিরূপ আবহাওয়ায় ঠোঁট অনেক বেশি শুষ্ক, নিষ্প্রাণ হয়ে পড়বে। ত্বকে ময়লা ও মৃতকোষ জমবে। এক্সফলিয়েশন ত্বকের এসব মৃতকোষ দূর করে ত্বকে আনবে সজীবতা।
পাশাপাশি রুক্ষ ত্বক কোমল হবে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
মুখের যত্ন
মুখের লাবণ্য বজায় রাখতে হলে রোজ সকালে উঠেই ত্বকের সঙ্গে মানানসই এবং কোমল ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এরপর ময়েশ্চারাইজারের সঙ্গে ভিটামিন সিরাম ব্যবহার করলে ত্বকে আর্দ্রতা বজায় থাকে। রাতে গোলাপজলের সঙ্গে কোনো একটি তেল মিশিয়ে মুখে ব্যবহার করতে পারেন।
যাঁদের ব্রণ আছে তাঁরা এটি ব্যবহার করবেন না। সপ্তাহে এক দিন মুখে মধু ও বাদাম তেল মিশিয়ে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এরপর কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের শুষ্কতা দূর হবে।
ময়েশ্চারাইজারের প্রতিদিন
গোসলের আগে পুরো শরীরে আমন্ড বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন। বডি অয়েলের সঙ্গে গোলাপজল ভালো করে মিশিয়ে নিন। ময়েশ্চারাইজারটি পুরো শরীরে ভালো করে ম্যাসাজ করুন। আধাঘণ্টা পর গোসল করুন। ত্বক কোমল থাকবে।
গোসলের পর এই ময়েশ্চারাইজারটি মেখে নিতে পারেন। ভালো ফল পাবেন।
শীতের আগে শুষ্ক কিংবা তৈলাক্ত যেকোনো ত্বকের যত্নে জেল বা ক্রিমবেইজড ময়েশ্চারাইজার বেশ উপকারী। ত্বক পরিষ্কার করে ত্বকে মাখলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
রোদ প্রতিরোধ করা
অল্প রোদেও ক্ষতিকর ইউভি রে থাকে। এটি ত্বকে কালচে পোড়া দাগ ফেলাসহ নানা রকম ক্ষতি করে থাকে। এ সময় বাইরে বের হওয়ার অন্তত ১৫ থেকে ২০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। রোদে ছাতা ব্যবহার করুন।
পর্যাপ্ত পানি পান
আর্দ্র আবহাওয়া শরীর শুষ্ক করে দেয়। ত্বক লাবণ্য হারিয়ে নিষ্প্রাণ, খসখসে দেখায়। এ সময় পর্যাপ্ত পানি পান ত্বক ও শরীর সুস্থ রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
পায়ের যত্ন
বাইরে থেকে ফিরে রোজ কুসুম গরম পানিতে ভালোমতো পা ধুয়ে নিন। তোয়ালে দিয়ে মুছে ময়েশ্চারাইজার মাখুন। তিল, নারকেল বা ভেজিটেবল অয়েল মালিশ করুন। সপ্তাহে অন্তত এক দিন ঘরে বসেই পেডিকিউর করুন। রাতে শোবার আগে উষ্ণ গরম পানিতে শ্যাম্পু, লেবুর রস ও এক চিমটি লবণ মিশিয়ে ২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। পেডিকিউরের পর কচি শসার রস মাখুন। এতে পায়ের ক্লান্তি দূর হবে। ময়লা উঠে আসবে এবং দাগছোপও কমবে। আর্দ্রতা বজায় রাখতে ভেজা পায়ে বডি লোশন, ক্রিম বা তেল লাগিয়ে নিন।